fbpx
বাড়িজাতীয়অপরাধরাবি'র বিদায়ী উপাচার্যের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

রাবি’র বিদায়ী উপাচার্যের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় তদন্তে কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চার সদস্যের এ কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শামিমা বেগম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এ জন্য গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তৎকালীন সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

অথচ আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) উপাচার্যের শেষ কর্মদিবসের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপক্ষো করে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানতে পেরেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, যা অনভিপ্রেত।

বিদায়ী উপাচার্যের অবৈধ জনবল নিয়োগের বৈধতা প্রাপ্তির সুযোগ নেই বিধায় এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে এ প্রতিষ্ঠানের আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. জাকির হোসেনকে সদস্য করে ইউজিসির পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়) মোহাম্মদ জামিনুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির কার্যপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়ম প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলকরণ, কমিটির দায়-দায়িত্ব নিরূপণপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করাসহ আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন প্রদান করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৭ মে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য পদে নিয়োগ পান অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে যোগ্যতা শিথিল করে মেয়ে-জামাতাকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত বছর ইউজিসির তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরণের নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। তবে শেষ দিনে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রুটিন দায়িত্ব পেয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments