fbpx
বাড়িবাংলাদেশঅপরাধভুয়া সনদে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

ভুয়া সনদে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর একই। একজন ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট। অপরজন চিকিৎসা দেন কক্সবাজারের চকরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু দুই চিকিৎসকের নিবন্ধন নম্বর তো এক হওয়ার কথা নয়। ঘটনা কী?

নেপথ্যের ঘটনা অবশেষে বেরিয়ে এসেছে। নিউরোলজিস্টের নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে হুবহু জাল সনদ বানিয়ে নিয়েছেন চকরিয়ার সেই ভুয়া চিকিৎসক। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সেজে পাঁচ বছর ধরে তিনি অপচিকিৎসা দিয়ে এসেছেন। তাঁর ভুল চিকিৎসায় বিভিন্ন সময়ে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা জটিলতায় পড়েছেন আরও অনেক রোগী।

রোগ শনাক্ত করতে না পেরে রোগীর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গেছে বলে ভয় দেখাতেন জালিয়াত হুমায়ুন কবির। এভাবে মানসিক চাপ তৈরি করে চিকিৎসার নামে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। চকরিয়ার বহুল পরিচিত জমজম হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০ জন রোগী দেখতেন তিনি। রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রামও করতেন। সব মিলিয়ে মাসে তাঁর আয় ছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা। সবসময় চোটপাট করতেন। চলাফেরা করতেন দাপটের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহর সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

নানা কৌশলে এত দিন জালিয়াতি করে এলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভ্রাম্যমাণ আদালত জমজম হাসপাতালে অভিযান চালান। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার রাহাত উজ জামান এতে নেতৃত্ব দেন। তিনি সমকালকে বলেন, অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের এমবিবিএস সনদ, বিএমডিসি সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের মধ্যে বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া গেছে। দুই সনদের মধ্যে ছবি ও নামের মিল নেই; নম্বরপত্রেও ঘষামাজা। জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাঁকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট হুমায়ুন কবির সরকার বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা অন্যায়। আমার ধারণা, এর সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জড়িত।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments