ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকমের কোনো প্রকার অনুমোদন ও লাইসেন্স ছিল না। ছিল না প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট। ব্যবসা পরিচালনায় ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করা হতো। এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
২০১৮ সালে শুরু হওয়া ধামাকা ডিজিটাল ২০২০ থেকে ধামাকা শপিং ডটকম নামে কার্যক্রম শুরু করে। বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে ওই অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র লাখখানেক টাকা। বর্তমানে সেলার বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮০-১৯০ কোটি টাকা, গ্রাহকদের বকেয়া ১৫০ কোটি ও রিফান্ড চেক বকেয়া ৩৫-৪০ কোটি টাকা।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কারসাজির মাধ্যমে লাখ লাখ গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারি না দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে, যা দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া বিভিন্ন আলোচনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উঠে এলে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।